-
- ঘাটাইল, টাঙ্গাইল
- পত্রিকায় দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরেও বহাল পিআইও এনামুল
- প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর, ৩, ২০২০, ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ
- 51 বার পড়া হয়েছে
ঘাটাইল প্রতিনিধি :
পত্রিকায় বার বার দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরও বহায় তবিয়তে চাকরী করছেনে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এনামুল হক।দুর্নীতি আর লুটপাটে যিনি সিদ্ধ হস্ত। তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া দুর্নীতির অভিযোগের পরও দাপটের সাথে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা যায়,তিনি ঘাটাইল স্টেশনেই রয়েছেন ৬ বছর ধরে। এর মধ্যে ২০১১ সালের ১৬ আগষ্ট যোগদানের পর ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তার বিরদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। সুনিদিষ্ট অভিযোগ ও বিভিন্ন তথ্যউপাত্তের ভিত্তিতে ২০১২ সালের ৭ জুলাই একাধিক জাতীয় দৈনিকে ‘ঘাটাইলে টিআর কাবিখা প্রকল্পে ১০ কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর পর নানা অপবাদ মাথায় নিয়ে তাকে অন্যত্র চলে যেতে হয়। কিন্তু তার চাকরি জীবনের দুর্নীতির মুল শেকড় ঘাটাইলের মায়া ছাড়তে পারেননি তিনি। পার্শ্ববর্তী ভুয়াপুর উপজেলায় পোষ্টিং হলেও ঘাটাইল থেকেই নিয়মিত অফিস করতে থাকে। পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বাগিয়ে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর ঘাটাইলে পুনরায় যোগদান করেন। এতে করে তিনি ইউএনও এবং প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কব্জা করে অনিয়ম দুর্নীতিতে বেসামাল হয়ে ওঠেন। স্থানিয়দের অভিযোগ টিআর কাবিখা ও ৪০ দিন প্রকল্পে সবচে বেশী দুর্নীতি হয়েছে সাবেক ইউএনও আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন, দিলরুবা আহমেদ ও কামরুল ইসলামের সময়ে। বিশেষ করে ৪০ দিন কর্মসুচি কাজে শুধুমাত্র কাগুজে কললমে শ্রমিক দেখিয়ে প্রকল্পের সেন্ট পার্চেন্ট অর্থ ভাগবাটোয়ারা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরদ্ধে। ফলে ৪০ দিন প্রকল্পের কাজে শ্রমিক না খাটিয়ে বিল উত্তোলন করায় ক্ষুব্দ এলাকাবাসি বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে সুনিদিষ্ট তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে লিখিত অভিযোগ করে। এলাকাবাসির অভিযোগে সরেজমিনে এলাকা ঘুরে ২০১৭ সালের ৩ জুন দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় ‘ঘাটাইলে কর্মসৃজন প্রকল্পে লুটপাট’-শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে প্রশাসনের টনক নড়লেও অজ্ঞাতকারনে তা হালে পানি পায়নি। এলাকাবাসি দ্বিতীয় দফা পিআইও এনামুলের কর্মকান্ডের বিস্তর অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিমনের দ্বারস্থ হয়। এ নিয়ে ২০১৯ সালের ৪ সেপ্টম্বর ‘ভুয়া প্রকল্পে ৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ’-শিরোনামে যুগান্তর পত্রিকায় আরো একটি অনুসন্ধানি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে করে পত্রিকার প্রতিবেদন ও স্থানিয়দের দাবির প্রেক্ষিতে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করে টাঙ্গাইল জেলা ম্যাজি: (এডিএম) মুহাম্মদ শহিদ উল্লাহকে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। বিভিন্ন ইউনিয়নে শত শত অভিযোগকারিদের মধ্য থেকে চলতি বছর ১৫ জানুয়ারি সাক্ষীর জন্য শুধু একজনকে আমন্ত্রন পত্র দেয়া হয়। তার পরও তদন্তের বিষয়টি লোক মুখে শুনে অনেকেই এডিএম কার্যালয়ে হাজির হয়ে স্বেচ্ছায় সাক্ষ্য প্রদান করেন। সাক্ষীতে দুর্নীতির সত্যতা মিললেও দুর্নীতিবাজ এ কর্মকর্তার কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরের ৪০ দিন প্রকল্পের কাজের কিছু অর্থ ভাগবাটোয়ারা করলেও তা আবার ব্যাংক হিসাব শাখায় জমা দিতে হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে এ অর্থ বছরে ৪০ দিন প্রকল্পের অব্যায়িত এক কোটি ২৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০০ টাকা রাষ্ট্রিয় কোষাগারে ফেরত দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর ‘ফেরত যাচ্ছে সিংহভাগ অর্থ’- শিরোনামে যুগান্তর পত্রিকায় সর্বশেষ একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
তার বিরুদ্ধে এ সব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পিআইও) এনামুল হক বলেন, র্কতৃপক্ষ যদি আমাকে পোষ্টিং না দেয় তাহলে আমি যাব কিভাবে। আমিতো যেতেই চাচ্ছি।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
Leave a Reply