তবে ওইদিন যে বাঁশির সুর শুনে থমকে দাঁড়িয়েছিলাম, সেটি এসব কারণে নয়- তা জানা গেল সেই বংশীবাদকের সঙ্গেই কথা বলে। বিনোদনের টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে আসাদুজ্জামান রতন (৬০) মূলত তাকে রতন আর্টিস্ট নামে সবাই চিনে। কিন্তু নিজের মনের একান্ত কিছু দুঃখকে জয় করতেই ঘাটাইল টক নদী ও যে কোন স্থানে বসে বাঁশি বাজান। গ্রামাঞ্চলে বাউন্ডেলেদের মধ্যে অলস দুপুরে বাঁশি বাজানোর চিরাচরিত প্রবণতা লক্ষ্য করা গেলেও ফুড ভিলেজ রেস্টুরেন্টের বাঁশি বাজাতে তাকে দেখা যায়।
সৌভাগ্যবশত ছোট বড় তিন সমঝদার শ্রোতাও জোটে তার ভাগ্যে। পরম আনুগত্য ও নীরবতা পালন করে বাঁশি গুন ছিল মোহাম্মদ সৈকত ও মোহাম্মদ ফিরোজ শুধু ওই দিনই নয়, প্রতিদিন এরকম শ্রোতার অভাব হয় না আসাদুজ্জামান রতনের।
উল্লেখ করার মতো বিষয় হচ্ছে, আসাদুজ্জামান রতন তিনি মূলত একজন শিক্ষক তিনি ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক এই বিষয়ে আসাদুজ্জামান রতনের কাছে জানতে চাইলে বলেন এখন বংশীবাদক এটা আমার শকের বসত । ঐতিহাসিক কিন্তু বিস্মৃত সেই অঙ্গনে এমন বাঁশির সুর যেন নতুন আবেদন নিয়ে হাজির হয়েছে। অনেকটা অনধিকারচর্চার মতোই ‘অন্যজগতে’ হারিয়ে যাওয়া এই বাঁশি কিছু ভক্তদের কাছে গিয়ে বসতেই হঠাৎ মুগ্ধ হয়ে যায় ওরা। কিছু সময় তাদের নানা গল্প শোনার পর পছন্দের অনেক গানের সুর বাঁশিতে তুলে আসাদুজ্জামান রতন । শোনায় যায় ওরে নীল দরিয়া আমায় দেরে দে ছাড়িয়া আরও বিভিন্ন ধরনের গানের তালে বাঁশি বাজান তিনি।
Leave a Reply