মধুপুর প্রতিনিধিঃ টাঙ্গাইলের মধুপুর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আ. লতিফ পান্না নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার ও ভোট বর্জন করে পূনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে মধুপুর পৌরসভা নির্বাচন রিটার্নিং অফিসারের নিকট লিখিত আবেদন করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মো. আ. লতিফ পান্নার ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের জোর পূর্বক কেন্দ্রে থেকে বের করে দেয়া, ভোটারদের নিকট থেকে মেয়র পদের ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল দেওয়ার অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জন করে পূনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানান।
এদিকে মধুপুর পৌরসভা নির্বাচন আজ শনিবার শান্তিপূর্নভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকে বিপুল সংখ্যক ভোটার কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন। দুটি কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে হট্রগোল ও ছোটখাটো মারপিটের ঘটনা ঘটে।
দুপুর আড়াইটায় বিএনপি মনোনিত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না মধুপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, দামপাড়া ও মধুপুর সরকারি কলেজ কেন্দ্র বাদে অবশিষ্ট ১৫ টি কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের পুলিং এজেন্টরা সাধারন ভোটারদের নিকট থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে নৌকা প্রতীকে সীল দেন। কোথাও কোথাও তাদের সামনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করেন। কর্মীদের মারপিট করা হয়।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের নিকট অভিযোগ দিয়েও এসবের কোন প্রতিকার না পেয়ে বিএনপির হাইকমান্ডের সাথে পরামর্শক্রমে রিটার্নিং অফিসার বরাবর প্রহসনের নির্বাচন বাতিল এবং পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। এ সময় তার সাথে মধুপুর উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকার প্রার্থী সিদ্দিক হোসেন খান এক বিবৃতিতে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান, নির্বাচনে পরাজয়ের আভাস পেয়ে ধানের শীষের প্রার্থী আব্দুল লতিফ পান্না নির্বাচন বর্জনের নাটক করেছেন।
Leave a Reply