করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘ বিরতিতে ক্যাম্পাস সংগঠকদের সময় কেমন কাটছে এ বিষয়ে মুখোমুখি হয়েছেন রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার পরিচিত ক্যাম্পাস সংগঠক হাসেম বাঁধন।
তিনি একাধারে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন এক ডজনের মতো সংগঠনের হয়ে কাজ করছেন। এদিকে তিনি ‘এরাইজ হেল্প ফর চাইল্ড ফাউন্ডেশন’ ও ‘প্রজেক্ট বনলতা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশ ইয়ুথ ফর এসডিজি সিক্স’র সিএম, বেগম রোকেয়া ইউনিভার্সিটি ডিবেট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক, ইংলিশ অলিম্পিয়াডের সিএ, গ্লোবাল রিসার্চ প্যানেলের বিভাগীয় প্রধান, জাতিসংঘ ভলান্টিয়ার, দিনাজপুর জেলা কল্যাণ সমিতির প্রচার সম্পাদক, পরিবেশবাদি সংগঠন গ্রিন টাচ এর প্রচার সম্পাদক, বিদ্যানন্দের ভলান্টিয়ার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনসহ ক্যাম্পাসে একজন অভিজ্ঞ সংগঠক I
তিনি বলেন করোনা পরিস্থিতি শুরুর পর থেকে আমার ব্যক্তিগত আর সামাজিক ভূমিকা বলতে কী, এই প্রশ্নের উত্তরে বলবো আমি এই করোনাকালীন সময়ে একটি ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও দুস্থ নারীদের এই পরিস্থিতিতে জীবন বাঁচানো যায়।
আমার সংগঠন এরাইজ হেল্প ফর চাইল্ড ফাউন্ডেশন, যার মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ, ৫০০ দুস্থ মহিলার কাছে আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি খাদ্যসামগ্রী। এছাড়াও আমি এই করোনাকালীন সময়ে কাজ হারানো দুস্থ মহিলাদের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার চেস্টা করছি, যার মাধ্যমে তাদের মিন্সট্রুয়াল হাইজিন ম্যানেজমেন্টসহ অন্যান্য সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে। এই করোনা পরিস্থিতিতে সবাই নিজ ঘরে বাস করলেও এতিম খানার শিশুদের নিজ ঘর বলতে কিছু থাকে না, আমি এমন ৬০ জন এতিম শিশুর দায়িত্ব নিয়েছি এই করোনাকালীন সময়ে।
Leave a Reply