মো.নজরুল ইসলাম : টাঙ্গাইলের মধুপুরে একই পরিবারের চার সদস্যকে হত্যার ঘটনায় মূল হোতা সাগরকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার উপজেলার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সাগর ব্রাহ্মণবাড়ী গ্রামের মগবর আলীর ছেলে। সে নিহত গণি মিয়ার সাথে সুদের ব্যবসা করত।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর আবু নাঈম মোহাম্মদ তালাত প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান ।
র্যাব জানান,
জিজ্ঞেসাবাদে সে হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে সাগর। সাগরের সাথে নিহত গণির পূবের্ থেকেই সুদের লেনদেন ছিলো। আসামি বেশ কয়েকবার সুদের টাকা দিতে ব্যর্থ হয়। গত মঙ্গলবার আব্দুল গনির কাছে পুনরায় ২০০ টাকার জন্য গেলে তাকে অনেক বকাঝকা করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। এতে সাগর অপমান বোধ করলে তার অপর এক সহযোগীকে নিয়ে হত্যা এবং টাকা পয়সা ও সম্পদ লুণ্ঠনের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সাগর তার সহযোগীকে নিয়ে বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০ ঘটিকায় ভুক্তভোগী গণির বাসায় যায়। যাওয়ার পূর্বে সাগরের সহোযোগী বাজার থেকে চেতনা নাশক নিয়ে যায়। পূর্বপরিচিত হওয়ায় খুব স্বাভাবিক ভাবে বাসায় ঢোকার অনুমতি পায় সাগর। আকস্মিকভাবে চেতনা নাশক ব্যবহার করে গণিকে অচেতন করে। পরিবারে সবাই ঘুমে থাকায় অচেতন করতে সহজতর হয়। সবাইকে ঠান্ডা মাথায় ভুক্তভোগীর বাসায় ব্যবহৃত কুড়াল ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রত্যেককে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। গৃহ ত্যাগ করার পূর্বে বাসার মূল্যমান জিনিসপত্র নিয়ে পলায়ন করে এবং বাসার বাহির থেকে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।
র্যার আরও জানান সাগরের স্বীকারউক্তি অনুযায়ী পরবর্তীতে তার বোনের বাড়ি, ব্রা²নবাড়ি (মজিদ চালা) গ্রাম থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করা হয়। অপর সহযোগীকে গ্রেফতার করতে র্যাব-১২ এর অভিযান চলমান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ রোডের মাস্টারপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের চার সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলো,বাবা মো.আব্দু গণি (৫৫),মা তাজিরন বেগম ওরফে বুচি (৪৫),ছেলে তাজেল (১৭) ও ছোট মেয়ে সাদিয়া (৮)। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত গণি মিয়ার বড় মেয়ে সোনিয়া বেগম।
Leave a Reply